সিলেট প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহদেকে ‘বিশ্ব বেহায়া দ্য সেকেন্ড’ নামে আখ্যায়িত করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার শাবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে কাফনের কাপড় গায়ে পড়ে প্রতীকী লাশ কাধে নিয়ে মৌন মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মিছিল শেষে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ভিসি পদত্যাগ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত অনশনকারীরা অনশন থেকে সরে আসবে না। ৭২ ঘন্টার বেশি সময় অতিক্রম হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত এই নির্লজ্জ লোকটি তার পদ আকড়ে রেখেছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ এই নির্লজ্জ ভিসির একটি নতুন নাম দিচ্ছে। তার নতুন নাম হচ্ছে বিশ্ব বেহায়া দ্য সেকেন্ড। বিশ্ব বেহায়ারা যেমন বাংলাদেশে কখনও স্থায়ী হতে পারেনি; এরও পতন হবে। আজকে শিক্ষার্থীরা আজকে কাফনের কাপড় ধারণ করলো, আমাদের মৃত্যু হবে, আমাদেরকে দাফন করা হবে তারপরও এই উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে কাফনের কাপড় পরে একটি মৌন মিছিল শুরু হয়ে চেতনা ৭১ দিয়ে ঘুরে এসে ফের গোলচত্বরে সমবেত হন। এসময় আন্দোলনকারীরা একজন শিক্ষার্থীকে প্রতীকী লাশ হিসেবে স্ট্রেচারে তুলে মিছিল করে।
শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেছা হলে অব্যবস্থাপনা ও হল প্রভোস্টের অসদাচরণে হল প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে টানা দশ দিনের মতো আন্দোলন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। পরে সেটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রুপ দেয়। পরদিন রোববার শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির মদদে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। শাবিপ্রবির ইতিহাসে এমন ঘটনা নজির বিহীন। শিক্ষার্থীদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিসি পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। গত বুধবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।