মেহেরপুর প্রতিনিধি,
মেয়ে ববিতা ইয়াসমিনের বেপরোয়া চলাফেরা মেনে নিতে পারেননি বাবা বজলুর রহমান। তাই মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ববিতা ইয়াসমিনের মাথায় আঘাত করে হত্যা করে সে। পরে বস্তাবন্দি করে ভৈরব নদে ভাসিয়ে দেন পাষন্ড পিতা।
আজ শনিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর থানার মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক(অপারেশন) রাসুল সামদানি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকালের দিকে ঠান্ডা মাথার খুনি বজলুর রহমানকে সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম পরিদর্শক(অপারেশন) রাসুল সামদানি আজাদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।
পরে থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে বর্ণনা করেন।
পরে বিকালের দিকে মেহেরপুর আদালতে তোলা হলে ম্যাসিস্ট্রেট বেগম রাফিয়া সুলতানার কাছে মেয়ে ববিতা ইয়াসমিনকে হত্যার কথা স্বিকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেই বজলুর রহমান। জবানবন্দী শেষে বজলুর রহমানকে জেল হাজে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।
বজলুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার নিশ্চিান্তপুর গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেন এর ছেলে।
সদর থানার পরিদর্শক(অপারেশন) রাসুল সামদানি আজাদ জানান, ববিতা ইয়াসমীনের মা রেহেনা বেগম মমতাজ দীর্ঘ ৫ ধরে থাকেন প্রবাসে (মরিচাষ) থাকেন। সেই থেকে মেয়ে নিজের ইচ্ছামত বিচরণ করতো।মেয়ের বেপরোয়ায় অতিষ্ঠ ছিল পুরো পরিবার। ঘটনার দিন ববিতা তার এক আত্মীয় বাড়িতে ছিল। এসময় তাকে কৌশলে পিতা তাকে সেই আত্মীয়র বাড়ি থেকে নিয়ে আসছিনে। পরিকল্পনামতে পথিমধ্যে ববিতাকে পেছন থেকে সজোরে হাত দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এসময় ববিতা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
তাকে একটি কলা বাগানে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যায়। রাত ১১ টার দিকে সেই কলা বাগানে ফিরে মেয়ের মৃত দেহ দেতে পান সে। পরে দেহ শক্ত হ