নারীর যত কথা
ইশরাত জাহান ইশা
পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রুতিমধুর একটি নাম (আম্মু)।যে নাকি নিজের সবটা দিয়ে আগলে রাখে। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে নিজের জীবনের পরোয়া না করে তোমাকে জন্ম দেয়।নতুন এক ভোর দেখার সুযোগ করে দেয়। তাকে কি করে অপমান করো। একটি মেয়ে ছোট থেকে মৃত্যু অব্দিই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যায়।একটি মেয়ের জিবনে কি সত্যিই চাওয়া- পাওয়া থাকে। হ্যাঁ থাকে। আর সেতা হলো অন্যের জন্য বেচে থাকা। নিজের জন্য নয়। ছেলে দের উক্তি মেয়েরা নাকি লোভি হয়।হ্যাঁ মেয়ে রা লোভী বলেই সে জন্যই বিয়ের দেনমহর টাও মাফ করে দেয়। একটি মেয়ে কালো হলে দোষ। সুন্দরী হলেও দোষ। শেয়ালের নজর তো থাকেই, একটি মেয়ে প্রতিবাদ করলে সে বিয়াদব। পুরুষের স্পর্শ ছাড়া কি নারী নষ্ট হয়? নারীকে নষ্ট বলার আগে, নিজেদের পশু ভাবো। কাপুরুষের দল। ছেলেদের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে মেয়েটি অহংকারী, দেমাক বেশি। নানা রকম হুমকি দিয়ে থাকে। (যার শিকার আমি নিজেই) আরও কত কি। তবে আমি প্রতিবাদ করতে জানি। প্রতিবাদ করতে গেলেই শত্রু হয়ে ওঠে।
একটি মেয়ে কাউকে ভালোবাসলেও সমাজ নানান কথা বলে যায়। বাবা-মার কথায় বিয়ে করলে মেয়ে টি বেঈমান। আরে এত বছর ধরে যারা বড় করেছে। তাদের সাথে বেঈমানী করে যদি তোর(প্রমিকের) কাছে যায়, কি গ্যারান্টি আছে। পরবর্তীতে সে তোকে ছেড়ে যাবে না।
আর বাবা-মার কথায় ভালোবাসার মানুষ কে বিয়ে করলে, বাবা-মার চোখে বেঈমান হতে হয়। কোন দিকে যাবে একটি মেয়ে।
নারী সব সময় ই অসহায়। সব সময়ই ভালোবাসাময়ী।
তোমরা ছেলেরা একটি কথা চিন্তা করে দেখো। ছোট্ট একটা উদাহরণ ঃ আচ্চা তুমি যে তোমার ঘর এলো মেলো করে রাখো। সেই ঘর টা গুছিয়ে দেয় কে? কখনো মা,কখনো বোন,কখনো বউ। সব সময় ই কোনো না কোনো নারী। সব কিছু তেই নারীর ভালোবাসা প্রয়োজন। যত যাই বলো নিস্তব্ধ রাতে একটি মেয়ের শুন্যতা অনুভব করো। যে নারী নিজের জিবনের মায়া ত্যাগ করে, তোমাকে বাবা ডাক শোনার মত সুন্দর অনুভুতি দেয়। সেই নারী সম্পর্কে বাজে কথা বলতে লজ্জ্বা করে না। কাপুরুষ!
নারীর পেট থেকে জন্ম নিয়ে সেই নারীর সম্মান নিয়ে খেলতে লজ্জ্বা করে না। নপূংশক /নরপশু!
নারী যেমন ই হোক না কেন, দিন শেষে একটা নারীকেই তোমার প্রয়োজন। লজ্জ্বা করে না। নারী কে খারাপ বলতে!
শিশু থেকে মা বোন কেউ তোমাদের মত নরপশু দের হাত থেকে রেহাই পায় না।
একটার পর একটা ধর্ষণ, এত এত খুন! কেন? কেন করো এইসব?
দোষ তো নারী কেই দাও। নারীর পোশাকের ও দোষ দাও। নিজের দৃষ্টি সংযত করতে পারো না। ইসলাম শুধু মেয়েদের পর্দা করতে বলে নি পুরুষদের দৃষ্টিও সংযত রাখতে বলেছে।
আমি যদি বলি আমি একটি ছেলে বা মেয়ের দিকে ২য় বার তাকাবো না। তাহলে তাই করবো। তাকাবো না মানে তাকাবো না।
আমি পারলে তুমি কেন পারবে না?
একটি মেয়ের জন্ম ই হয় সবাইকে ভালোবাসার জন্য। ছোট সময় বাবা মার প্রতি ভালোবাসা, বিয়ের পর স্বামী, শশুর বাড়ির লোক কে ভালোবাসা আর তারপর সন্তানের প্রতি ভালোবাসা।
সবার মন রক্ষা করে চলতে হয়। নয় তো তুমি খারাপ।
মেয়েদের নাকি নিজের বাড়ি নেই। হ্যাঁ বলার সময় তাই বলে, বাবার বাড়ি – শশুড় বাড়ি
কিন্তু আমার মতে বাবার বাড়ি – শশুড় বাড়ি উভয় জায়গায় ই নারী ছাড়া অসম্পূর্ণ। সব জায়গায় নারীর ভুমিকা রয়েছে।
Post Views:
487