কক্সবাজার প্রতিনিধি //
তিন দিনের সরকারি ছুটিতে
সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। এছাড়াও সমুদ্রতীরে দেশি বিদেশি লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে প্রায় ৮৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস – রেস্ট হাউস এর কক্ষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও
পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে ১৭-১৯ মার্চ তিন দিন সরকারি ছুটি রয়েছে । এ কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছেন লাখো মানুষ ।
শুধু সৈকতেই নয় হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস – রেস্ট হাউস অলিগলি-রাস্তা সকল স্থানে পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে । পর্যটকবাহী ও সাধারণ পরিবহন এবং ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশায় বাইপাস সড়ক, কলাতলী ডলফিন মোড়, হোটেল-মোটেল জোন, লাবণী, শৈবাল সড়কসহ প্রায় সব জায়গায় তীব্র ভিড় রয়েছে।
কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলো। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বদা সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটক দম্পতি ওসমান শরীফ ও লিমা আক্তার বলেন, খুব আনন্দ উপভোগ করছি। কক্সবাজার যতই আসি মন ভরেনা। বারবার আসতে ইচ্ছে করে।
কক্সবাজার গেস্ট হাউস – রেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, কক্সবাজারে ৪০০ থেকে ৪৫০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৭-১৯ তারিখের জন্য প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ সময় কক্সবাজারে চার লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি আশা করা যাচ্ছে । ফলে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সকল পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে টহলে থাকবে পুলিশ। পর্য়টকদের নিরাপত্তায় সর্বদা সজাগ টুরিস্ট পুলিশ।
€