“বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
————————————————
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
—
“তোমরা রাসূলের আহবানকে,
তোমাদের একে অপরের আহবানের মত গণ্য করো না।
আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে আড়ালে সড়ে পড়ে।
সুতরাং যারা,
তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে,
বিপর্যয় তাদের ওপর পতিত হবে অথবা পতিত হবে তাদের ওপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”
————–(সূরা নূর ২৪ : আয়াত-৬৩)———-
~~~
আয়াতের সংক্ষিপ্ত তফসীর-
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“ঐ সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না,
যতক্ষণ না আমি যা নিয়ে এসেছি তার প্রবৃত্তি, সে অনুগামী হয়।”
(সরহুস সুন্নাহ, মিশকাত হা: ১৬৭)
~~~
সুতরাং দল, তরীকা (পীর) ও মাযহাবের দোহাই দিয়ে
কোন অবস্থাতেই
আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের ফয়সালার অবাধ্য হওয়া যাবে না।
বরং প্রত্যেক মু’মিন
আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের ফয়সালা মাথা পেতে মেনে নিবে,
এবং সাথে সাথে তা পালন করবে।
কারণ যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশ,
অমান্য করবে তারা প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট।
~~~
শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর রাসূলের বিধান ও ফয়সালা মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হবে।
~~~
২. আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের সিদ্ধান্তের ওপর কোন কথা বলা যাবে না।
~~~
৩. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশের অবাধ্য হওয়া সুস্পষ্ট কুফরী।
_____________[ফাতহুল মাজিদ]_________
Post Views:
465