মো .নাসির উদ্দিন.গলাচিপা( পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
গলাচিপার রতনদি তালতলী মানিকচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত বুধবার বসছে সাপ্তাহিক গরুর হাট। গরুর হাট বসানোয় একদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ অপরদিকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে খেলাধুলা থেকে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হওয়াসহ নানা ধরনের রোগজীবানু ছড়নোর আশংকা রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে গবাদিপশুর হাটের কারণে ওইদিন স্কুলে অর্ধেক সময় পাঠদান করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
গলাচিপা-বদনাতলী সড়কের কাটাখালী গ্রামের পূর্বপ্রান্ত্মে কাটাখালী বাজার। ওই সড়কের দুই পাশে বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে শতাধিক
দোকানপাট। বাজার থেকে উত্তর দিকে আরেকটি রাস্ত্মা ধরে ২ থেকে ৩ শত ফুট গেলেই মানিকচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতি সপ্তাহের
বুধবার বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে বসানো হয় গরম্নর হাট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের কয়েক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা প্রতি বুধবার এখানে গরম্নর হাট বসান। এ কারণে ওই দিন
আগেভাগে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয়। হাট বসানোর কারণে পশুর মলমূত্রে সয়লাব হয়ে থাকে পুরো মাঠ। আশপাশের এলাকাও হয়ে থাকে নেংরা
আবর্জনায় পরিপূর্ণ। তাই পরের দিন বৃহস্পতিবার ওই সব মলমূত্র, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাটাখালী বাজারের একাধীক ব্যবসায়ী জানান, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় কয়েক বছর
ধরে স্কুলের মাঠে গরম্নর হাট বসাচ্ছে। করোনাকালীন এই সময় এর কোন তোয়াক্কাই করেননি বাজার কর্তৃপÿ। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে এটি
এখন ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। সম্প্রতি সরকার কর্তৃক স্কুল খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হলেও এখানে সে ধরণের কোন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা মো ফিরোজ আলমকে জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সংশিস্নষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, ‘কাটাখালী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে গরম্নর হাট বসে। এর পাশেই স্কুলের অবস্থান কিন্তু
স্কুল মাঠে গরুর হাট বসে এ ধরণের তথ্য আমার জানা নেই। বিষয়টি